শেখ রমজান হাসান নূর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যায়যায় সময়
গাজীপুর সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে শনিবার দুপুরে বাঘেরবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী আলম হোসেন লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকায় মাহনা ভবানীপুর মৌজায় এস.এ ১৩৩ আর এস ৭৬১ খতিয়ানে এস.এ ৬৮৭, ৬৯৯ আর এস ২০৩৫, ২০৬১নং দাগে মোট ৩০০ শতাংশ জমি ওয়ারিস ও ক্রয় সূত্রে মালিক হইয়া ৪০ বছর যাবৎ
ভোগ দখল করে খাজনা খারিজ পরিশোধ করে আসছি।
এমন অবস্থায় স্থানীয় মৃত মোহর আলীর ছেলে সাদির মোল্লা, সাদির মোল্লার ছেলে হোসেন মোল্লা, মোবারক মোল্লা ও সাইফুল মোল্লা তারা ঢাকার এক স্থানীয় আহাম্মেদ পারভেজের কাছে গত ২১/১২/২০১৫ইং সালে সাদির মোল্লা (পাওয়ার অব এটনীয় দলিল) মূল্যে পাওয়ার নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এবং জয়দেবপুর থানায় আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধানের জন্য ভাওয়াল গড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনকে দায়িত্ব দেন। জমির সকল কাগজপত্র চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ একাধিকবার সরেজমিনে শালিশে বসেন। কিন্তু বিবাদী শালিশে উপস্থিত না হয়ে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে সহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে
গাজীপুর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তিনের আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন (সি.আর মামলা নং-৩২৯/২০২৩)। যা বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পি.বি.আই) তদন্তাধীন রয়েছে।
আহাম্মেদ পারভেজ সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়ে তারা আমাদের হয়রানির করছে। জিডি ও মামলার পর মামলা করেই যাচ্ছেন।
আমি এর ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আমার বৈধ মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি। সেই সাথে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দাবি জানাই।