গাজীপুর প্রতিনিধি|যায়যায় সময়
গাজীপুরের শ্রীপুরে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংস বিক্রির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে আজিজুল হক নামে এক কসাইয়ের বিরুদ্ধে। ৫ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে উপজেলার বহেরারচালা এলাকায় তাকওয়া কারখানার পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের চোখে পড়ে, গাভীর পেট থেকে বের হওয়া প্রায় আট মাসের একটি বাছুর কলাবাগানে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়রা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, “আজিজুল মাঝে মাঝে গরু এনে জবাই করে মাংস বিক্রি করে। সেদিন গাভীর পেট থেকে বাছুর বের হলে তিনি সেটি ফেলে দেন। লোকজন দেখে ফেলার পর তিনি পালিয়ে যান।”
হোটেল ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া জানান, “আমি ২ হাজার টাকার মাংস কিনেছিলাম। পরে জানতে পারি, গাভীর পেটে আট মাসের বাছুর ছিল। বিষয়টি জানতে পারার পর আমাদের পরিবারের সবাই অস্বস্তি বোধ করেছি। এটা একটি প্রতারণা, এবং এর বিচার চাই।”
কারখানা শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “তিনি মাংস কিনেছিলেন কিন্তু রান্না করেননি। দুপুরে বিষয়টি জানার পর মাংস ফেরত দেন। অভিযোগ, কসাই আজিজুল ইচ্ছাকৃতভাবে গাভীর পেটে বাছুর থাকার বিষয়টি গোপন করেছেন।”
ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল ফয়েজ উদ্যোগ নেন। ফয়েজ স্বীকার করেছেন, “আমি ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেতাদের মধ্যে ভাগ করেছি। রাজিবকে ২০ হাজার, হাসানকে ২০ হাজার, পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক পদপ্রার্থী মফিজুলকে সাড়ে ৪ হাজার, হাফিজুলকে সাড়ে ৪ হাজার, রুবেলকে ১ হাজার, সাইদুলকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে, আমার কাছে এখন ৪০০ টাকা আছে।”
তবে অভিযুক্তদের মধ্যে রাজিব, সাইদুল ও মফিজ উদ্দিন টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়রা এই ঘটনায় প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক মুজাহিদ এর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে:
https://www.facebook.com/share/v/1EUu1Kf9TV/