প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর):
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংড়া গ্রামের তায়েমা আক্তার রূপসী ছোটবেলাতেই বাবা রোমান মিয়াকে হারান। সংসারের ভার এসে পড়ে তার মা ফেরদৌসীর কাঁধে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কখনো সামান্য চাকরি করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন তিনি।
২০২৫ সালে আলহাজ্ব নয়াব আলী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে রূপসী। তবে কলেজে ভর্তির টাকা না থাকায় তার পড়াশোনা থেমে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। খবরটি পৌঁছে যায় প্রবাসী ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এস এম মিল্টন সরকারের কানে। তিনি দ্রুত রূপসীর শিক্ষার দায়িত্ব নেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর সরকারি কলেজে রূপসীর ভর্তি সম্পন্ন হয়। এসময় স্থানীয় গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা পাশে ছিলেন। ভর্তি শেষে মা ফেরদৌসীর চোখ ভিজে ওঠে আনন্দাশ্রুতে। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম মেয়ের পড়াশোনা এখানেই শেষ হবে। কিন্তু মিল্টন সাহেব আল্লাহর রহমতের মতো এগিয়ে এলেন।”
রূপসী জানায়, “আমি বড় হয়ে মাকে সুখে রাখতে চাই। যাতে আর কোনোদিন তাকে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে না হয়।”
এস এম মিল্টন সরকার মুঠোফোনে বলেন, “দেশে অনেক মেয়েই অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। আমি চেয়েছি অন্তত একজনকে সাহায্য করতে, যাতে সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।”
রূপসীর জীবনে তাই শুরু হলো নতুন অধ্যায়। মায়ের চোখে ভাসছে আশার আলো, মেয়ের চোখে ভবিষ্যতের স্বপ্ন।