মোঃ মাহবুবুল আলম
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ এলাকায় মা ও মেয়েকে জবাই করে বাবা আত্বহত্যা করেছেন । পুলিশ ধারনা করছে স্বামী নিজেই তার স্ত্রী ও মেয়েকে জবাই করে হত্যার পর সে নিজে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আতœহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে জয়দেবপুর থানার পুলিশ নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতরা হলেন, হায়দারাবাদ এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে কামাল হোসেন (৪০), তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী সানজিদা কামাল ওরফে রিমি (১৯)।
নিহতের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহমুদা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি তার সন্তানকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময়ে তিনি কামাল হোসেনের বাড়ির কাছে আসলে কামাল হোসেনের বাড়ির বাইরের লাইট জ¦ালানো অবস্থায় দেখতে পান। এতো বেলায় কেন লাইট জ¦লছে সেটি দেখার জন্য তিনি তার ঘরের দিকে এগিয়ে দেখেন ঘরের বারান্দায় কামাল হোসেনের মরদেহ ঝুলছে। পরে তিনি জানালা ফাঁক দিয়ে অন্যদের ডাকাডাকি করার সময় নাজমা ও সানজিদা আক্তার রিমির রক্তাক্ত মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটির সুরতহাল করেন। তিনি জানান, নিহত মা ও মেয়ের গলা এবং পেট কাটা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ তিনটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাবা তার মেয়ে ও স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর সে নিজে আত্মহত্যা করেছে। তবে বিষয়টির সঙ্গে অন্য কোন ঘটনা জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।………………………..